দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : শুরু হলো বিষ্ণুপুর 'মিউজিক ফেস্টিভ্যাল'। রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে জোড় শ্রেণীর মন্দির প্রাঙ্গন ‘পোড়া মাটির হাটে’ তিন দিনের এই মিউজিক ফ্যাস্টিভ্যালে বিষ্ণুপুর ঘরাণার প্রথিতযশা শিল্পীরা ধ্রুপদ পরিবেশন করবেন।
বিষ্ণুপুর রামশরণ সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমবেত সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়৷ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত প্রমুখ।
বিষ্ণুপুর মিউজিক ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষ্যে অপরূপ আলোক সজ্জায় সেজে উঠেছে জোড় শ্রেণীর মন্দির প্রাঙ্গন। এক দিকে পোড়া মাটির হাট, অন্যদিকে সেখানেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধ্রুপদের মূর্ছণা। সব মিলে মিশে যেন একাকার। ইতিমধ্যে এই সঙ্গীতের টানে শহরে এসে পৌঁছে গেছেন দেশ বিদেশের অসংখ্য পর্যটক। এই মুহূর্তে বিষ্ণুপুর বাসীও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন মল্ল রাজাদের তৈরী অসংখ্য প্রাচীন মন্দিরের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী বিষ্ণুপুর ঘরাণার সঙ্গীতের টানেও এবার থেকে আরো বেশী পর্যটক বিষ্ণুপুর মুখী হবেন। আগামী রবিবার পর্যন্ত চলবে মিউজিক ফেস্টিভ্যাল৷
ডানকুনি থেকে সপরিবারে বিষ্ণুপুর বেড়াতে আসা অঙ্কুর মুখার্জী থেকে দিল্লী থেকে আসা অর্পিতা ভট্টাচার্য প্রত্যেকেই খুশিষমিউজিক ফেস্টিভ্যালে অংশ নিতে পেরে। বিষ্ণুপুরের সঙ্গীত ঘরানার বিকাশ রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে তারা জানান।
রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বিষ্ণুপুর সঙ্গীত ঘরাণাকে টিকিয়ে রাখতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতিতে এই মিউজিক ফ্যাস্টিভ্যাল বলে তিনি জানান।